বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন
বাহুবল (হবিগঞ্জ) সংবাদদাতা : বাহুবলে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে এক বৃদ্ধ নিহত হওয়ার ঘটনায় ১০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নিহত জহুর আলীর ছেলে উসমান আলী বাদী হয়ে বাহুবল মডেল থানায় উক্ত মামলা দায়ের করেন। ইতিমধ্যে মামলার ২ আসামী পুলিশ এসল্ট মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে রয়েছেন।
উলেখ্য, সোমবার (৮ এপ্রিল) রাতে উপজেলার বশিনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি চায়ের দোকানে বসা নিয়ে দ্বিমুড়া গ্রামের দুই জনের কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনায় বশিনা গ্রামের দোকান মালিক তাদের ঘর থেকে বের হয়ে ঝগড়া-ঝাটি করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয় দ্বিমুড়া গ্রামের ঝগড়ায় লিপ্ত ব্যক্তিরা। এক পর্যায়ে তারা নিজেদের ঝগড়া বাদ দিয়ে বশিনা গ্রামের দোকান মালিকের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দ্বিমুড়া গ্রামের লোকজন মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোক জড়ো করে বশিনা গ্রামবাসীকে ডাকাডাকি শুরু করে। এক পর্যায়ে বশিনা গ্রামের লোকজন বেড়িয়ে এলে বশিনা ও দ্বিমুড়া গ্রামবাসীর মাঝে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্ততঃ ৩০ জন আহত হয়। আহত ব্যক্তিদের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সংঘর্ষে ঢিলের আঘাতে গুরুতর আহত দ্বিমুড়া গ্রামের মৃত মামদ হোসেনের পুত্র জহুর আলীকে প্রথমে হবিগঞ্জ ও পরে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তিনি মঙ্গলবার সকালে মৃত্যুবরণ করেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী জানান, ঘটনার রাতেই পুলিশ এসল্ট মামলায় ৬ জনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে হত্যা মামলার ২ জন আসামী কারাগারেই আছেন।